second hand mobile buy/poraton mobile kenar tips
পুরোনো মোবাইল ফোন কেনার আগে করণীয়
বাংলাদেশে ক্লাসিফায়েড সাইটগুলোর পাশাপাশি ফেসবুকের মাধ্যমেও এখন সেকেন্ড হ্যান্ড বা হাতফেরত পুরোনো মোবাইল ফোন কেনাবেচা হচ্ছে।
সেকেন্ড হ্যান্ড স্মার্টফোন যেমন আপনার ভালো একটি ফোন কম খরচে ব্যবহারের সাধ মেটাতে পারে তেমনি এগুলো কিনে ঠকে যাওয়ার নজিরও কম নয়। তাই সেকেন্ড হ্যান্ড স্মার্টফোন কিনে না ঠকার জন্য কিছু জিনিস খেয়াল না করলেই নয়। আর সেগুলো নিয়েই আজকের এই পোস্ট।
সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার আগে যেসব বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে,
১. কার কাছ থেকে কিনছেন
না ঠকার জন্য এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন স্টেপ। আপনি যদি স্মার্টফোনটি আপনার বাস্তব জীবনে পরিচিত কারো কাছ থেকে কিনেন তাহলে অনেকটাই নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে কেনার পর কোনো সমস্যা পেলে আপনি সেটা নিয়ে কথা বলারও সুযোগ পাচ্ছেন।কিন্তু ঝামেলা হয় অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে দামি স্মার্টফোন হলে আপনার উচিত বিক্রেতার সাথে সরাসরি দেখা করে কথা বলা এবং তার ব্যাপারে ব্যাসিক কিছু খোঁজখবর নেয়া। লেনদেনের ক্ষেত্রে চাইলে একজন মধ্যস্থতাকারী রাখতে পারেন।
২. কাগজপত্র যাচাই
আজকাল নকল ও চোরাই স্মার্টফোনে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। আপনাকে ঠকিয়ে কেউ হয়তো চুরি করা স্মার্টফোনও ধরিয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি পরে হয়রানির মুখোমুখি হতে পারেন। তাই আপনার উচিত বক্স সহ স্মার্টফোন কেনা এবং ফোনের সাথে বক্সের আইএমইআই নম্বর মিলিয়ে দেখা। সেই সাথে বিক্রেতা যেখান থেকে স্মার্টফোনটি কিনেছেন সেই দোকানের রশিদ পেলে আপনি আরো নির্ভার থাকতে পারেন।স্মার্টফোনটিতে ওয়ারেন্টির মেয়াদ আছে কি না, থাকলে বাংলাদেশে সেটার ওয়ারেন্টি পাবেন কিনা সেটাও বিক্রেতার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিবেন। আর মনে করে ওয়ারেন্টি কার্ডটিও চেয়ে নিবেন। বিক্রেতা যদি আপনার পরিচিত না হয় তাহলে বিক্রেতার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি ও ছবি সংগ্রহ করে রাখতে পারেন।
৩. সফটওয়্যার চেক
এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। বাইরে থেকে আপনি হার্ডওয়্যার ত্রুটি ধরতে পারলেও সফটওয়্যার জনিত কোনো সীমাবদ্ধতা থাকলে সেটা ধরা কঠিন। যেমনঃ আইফোনের ক্ষেত্রে আইক্লাউড লক করা কি না সেটা দেখে নিবেন। এন্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে সেট রুট করা থাকলে ওয়ারেন্টি পাবেন কিনা তা জেনে নিন।যদিও, রুট করা স্মার্টফোন কিনলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু ওয়ারেন্টি চাইলে রুট করা কিনা সেটা দেখে নিবেন। প্রয়োজনীয় পাসওয়ার্ড গুলো চেয়ে নিবেন বিক্রেতার কাছ থেকে। সবচেয়ে ভালো হয় ফ্যাক্টরি রিসেট দেয়া অবস্থায় ফোন কিনলে।
৪. হার্ডওয়্যার টেস্ট
অনেকসময় বাইরে থেকে দেখতে ভালো মনে হলেও শক কিংবা পড়ে যাওয়া জনিত কারণে স্মার্টফোনের বিভিন্ন সেন্সর যেমনঃ ক্যামেরা, ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, রেডিও ইত্যাদি কাজ নাও করতে পারে। তাই এসব চেক করে নেয়া উচিত। চেক করার জন্য হার্ডওয়্যার টেস্ট নামে প্লে স্টোরে অনেক অ্যাপ পাবেন।বিভিন্ন পোর্ট যেমনঃ ইউএসবি, হেডফোন জ্যাক ইত্যাদি টেস্ট করে নিতে ভুলবেন না। সবচেয়ে বেশি নজর দিবেন ব্যাটারির ক্ষেত্রে। প্রায় সব স্মার্টফোনেই নন রিমুভেবল ব্যাটারি থাকে। তাই ব্যাটারি খারাপ থাকলে আপনাকে মুশকিলে পড়তে হবে। সম্ভব হলে বিভিন্ন অ্যাপ দিয়ে এপ্রক্সিমেট ব্যাটারি ইউসেজ ডেটা থেকে স্মার্টফোনটির ব্যাটারির অবস্থা যাচাই করে নিবেন।
৫. কমপক্ষে দুই জিবি র্যাম
সাশ্রয়ী দামের মধ্যেই দুই জিবি র্যামের ফোনের সন্ধান পাবেন। পুরোনো স্মার্টফোন কেনার আগে ওই ফোনে র্যাম কতটুকু আছে তা নিশ্চিত হয়ে নিন। ১ জিবির কমে র্যাম রয়েছে এমন পুরোনো ফোন না কেনাই ভালো। এ ছাড়াও ফোনের প্রসেসরের দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। মিডিয়াটেক প্রসেসর বেশ পুরোনো, পারফরম্যান্সের দিক থেকেও উন্নত নয়। কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন কিংবা ইনটেল প্রসেসরের ফোন কেনার চেষ্টা করুন। তবে এতে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়।সর্বোপরি নিজের এসব ব্যাপারে ধারণা কম থাকলে পরিচিত কাউকে সাথে নিয়ে যাওয়া উচিত। তাহলেই ঠকার সম্ভাবনা কম থাকবে।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসবে। আপনি যদি আরও কিছু টিপস জেনে থাকেন, তাহলে কমেন্টে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।
Written by :
sanim369 |
MD. Nura Alam Sanim
No comments