এমা ওয়াটসন সম্পর্কে দারুণ কিছু তথ্য!
এমা ওয়াটসন সম্পর্কে দারুণ কিছু তথ্য!
বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয় হ্যারি পটার সিরিজের চলচ্চিত্রগুলো যারা দেখেছেন, সে সকল সিনেমাপ্রেমী নিশ্চয় হারমায়োনি গ্রেঞ্জারেকে ভুলে যাননি!
পুরো নাম এমা শার্লট ডিউয়ার ওয়াটসন, ভক্তকুল যাকে এমা ওয়াটসন নামেই চিনে। জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং অসাধারণ ব্যক্তিত্ব এমা ওয়াটসনের বিভিন্ন অজানা দিক নিয়ে এবার এগিয়ে চলোর আয়োজন-
. বৃটিশ এই অভিনেত্রী জন্মগ্রহন করেন ফ্রান্সের প্যারিসে।
. এমা ওয়াটসনের পূর্বপুরুষ ব্রিটিশ এবং তুর্কী।
. এমা ওয়াটসনের মা-বাবা দুজনেই ছিলেন আইনজীবী।
. এমা ওয়াটসনের বয়স যখন ৫ বছর তখন তাঁর মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। আলেকজান্ডার নামে তাঁর একজন ছোট ভাই আছে।
. প্রথম জীবনে তিনি স্টেজকোচ থিয়েটার আর্টস স্কুলে নাচ, গান এবং অভিনয় শেখেন।
. ইংরেজী এবং আর্ট তাঁর পছন্দের বিষয়, আর সবচেয়ে অপছন্দের বিষয় হচ্ছে গণিত এবং ভূগোল।
. মাত্র ১৭ বছর বয়সে তাঁর আয় ছিল ৪ মিলিয়ন ডলার!
. এমা ওয়াটসনের প্রিয় অভিনেতা জনি ডেপ, পছন্দের লেখক কারলোস লুইস জ্যাফন।
. হ্যারি পটার সিরিজের প্রথম সিনেমা ‘সরসারার্স স্টোন’ যখন মুক্তি পায়, তখন এমা ওয়াটসনের বয়স ছিল ১১ বছর।
. হ্যারি পটারের সহ-অভিনেতা ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ এবং রুপার্ট গ্রিন্টের সাথে তাঁর চমৎকার বন্ধুত্ব। তিনি তাদেরকে ‘ভাই’ বলে ডাকেন।
. তিনি ১২ বছর বয়সেই প্রায় প্রেমে পড়ে যান। তাঁর পছন্দের মানুষ ছিলেন হ্যারি পটার চলচ্চিত্রে ড্র্যাকো ম্যালফয় চরিত্রে অভিনয় করা টম ফেলটন!
. ২০১৪ সালের জুলাই মাসে জাতিসংঘের নারী শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিযুক্ত হন এমা ওয়াটসন। জাতিসংঘের নারী বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত হওয়ার তিনি লিঙ্গ-বৈষম্য দূর করতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা চালান। #HeForShe হচ্ছে তাঁর বিশ্বব্যাপী পরিচালিত ক্যাম্পেইন।
. হ্যারি পটার চলচ্চিত্রের ‘হারমায়োনি গ্রেঞ্জার’ চরিত্রটি পেতে তাঁকে বেশ ধকল সহ্য করতে হয়েছে। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তাঁকে অডিশন দিতে হয়েছে আটবার। যদিও হ্যারি পটার বইয়ের লেখিকা জে. কে. রাওউলিং তাঁকে প্রথমবার স্ক্রিন টেস্টের পরই পছন্দ করেছিলেন।
. এমা ওয়াটসন বই পড়তে ভীষণ ভালোবাসেন। বই সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি জানি এটা কিছুটা অদ্ভুত শোনাবে। তবে এটাই সত্যি যে, আমি পড়াশোনা করতে বেশ ভালোবাসি, আমার অবসরের সঙ্গী বই। বইয়ের নিজস্ব একটা শক্তি আছে, যা আমাদের সম্পূর্ণ অন্য জগতে নিয়ে যায়। ভাবতে শেখায় এবং আনন্দ দেয়।’ তিনি ফেমিনিস্ট বুক ক্লাব নামের একটি ক্লাব চালু করেছেন। অন্যান্য বইপ্রেমীদের সাথে বই নিয়ে কথা বলতেও তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
. অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী অভিনয় জগতে প্রবেশের পর আর লেখাপড়া ঠিকভাবে চালিয়ে যেতে পারেন না। এখানেও এমা ওয়াটসন ব্যতিক্রম। তিনি খুবই ছোট বয়স থেকে অভিনয় শুরু করলেও লেখাপড়ায়ও ছিলেন নিয়মিত। আমেরিকার ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি ইংরেজি ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।
. হ্যারি পটার সিরিজের সবগুলো বই পড়েছেন তিনি। কিন্তু এই সিরিজের ৩ নম্বর বই ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অফ আজকাবান’ তাঁর বেশি প্রিয়।
. বিখ্যাত টিন ভোগ ম্যাগাজিন যখন এমা ওয়াটসনকে নিয়ে ফিচার করে তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র পনেরো বছর। এর আগে এত কম বয়সের কাউকে নিয়ে এ ম্যাগাজিন ফিচার করেনি।
. শুধু অভিনয়ের জন্যই নয়, তিনি তাঁর ফ্যাশনসেন্সের জন্যও বেশ পরিচিত। সর্বদাই মানানসই আর রুচিসম্মত পোশাক পরিধানে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এজন্য বারবেরির মত বড় বড় ফ্যাশন হাউজগুলোও তাঁকে তাদের ব্র্যান্ড এম্বাসেডর করার জন্য মুখিয়ে থাকে।
. এমা ওয়াটসন তাঁর সময়ানুবর্তিতার জন্যও কর্মক্ষেত্রে পরিচিত, কিন্তু ২০১৪ সালে তিনি ঘুম থেকে উঠতে না পেরে ভ্যানিটি ফেয়ার অস্কার পার্টিতে যোগ দিতে পারেননি। তিনি রাতে শুধু পিৎজা খেয়েছিলেন।
. পত্রিকা এবং ডায়েরি জমিয়ে রাখা তাঁর নেশা। লেখালেখিও তাঁর নেশা। তিনি বলেন আমি প্রতি রাতেই ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে কিছু না কিছু লেখার চেষ্টা করি।
👉আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে।
No comments