World-news-emirates-man-stupid
বান্ধবীকে ‘বেকুব’ বলায় দুই মাসের কারাদণ্ড!
মজা করে আমরা নিজেদের বন্ধু-বান্ধবীকে কতরকম কথাবার্তাই না বলে থাকি। গরু-গাধা থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছুই। তবে হ্যাঁ, এখন থেকে সাবধান থাকবেন একটু, কিছু বলতে গিয়ে লিমিট ক্রস করে ফেলবেন না যেন! নইলে পরিণতি হতে পারে আরব আমিরাতের এই লোকটার মতো। বেচারা তার এক পরিচিত তরুণীকে প্রপোজ করতে গিয়েছিলেন হোয়াটসঅ্যাপে। সেই তরুণী তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় রেগেমেগে তাকে ‘স্টুপিড’ বলে গালাগাল দিয়েছিলেন সেই ব্যক্তি। ফলাফল? বিশ হাজার দিরহাম জরিমানার সঙ্গে এখন দুই মাসের কারাদণ্ডও ভোগ করতে হচ্ছে সেই লোকটাকে।
আরব আমিরাতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন যথেষ্ট কড়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যে আপত্তিকর কোনও কিছু লিখলে বা প্রকাশ করলেই তাকে সাইবার ক্রাইম হিসেবে দেখা হয়। বান্ধবীকে ‘বেকুব’ বলে ৬০ দিনের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার দিরহাম জরিমানার দণ্ড পাওয়ার ব্যক্তি দাবী করেছেন, তিনি মজা করে কথাটা বলেছিলেন। তবে আদালত তার কথা আমলে নেয়নি।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও তিনি যেমন নিস্তার পাননি, তেমনি এমন আরেকটি মামলায় আরব আমিরাতে বিচার চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর। তিনি নাকি এক মহিলাকে প্রাপ্তবয়স্কদের ভিডিও পাঠিয়েছিলেন! যদিও তিনি দাবী করেছেন, অন্য একটা ভিডিও পাঠাতে গিয়ে তিনি ভুল করে এই ভিডিওটি পাঠিয়েছিলেন। তার মামলার রায়ও ঘোষণা করা হবে শীঘ্রই।
আরব আমিরাতে এরকম আরও বেশ কয়েকটি মামলা চালু রয়েছে, যেখানে বাদী ইন্টারনেটে হেনস্তার অভিযোগ করেছে। আর বিবাদী বলেছেন, শুধু মজা করার উদ্দেশ্যেই তারা সংশ্লিষ্ট কথাগুলো লিখেছেন চ্যাটে। কেউ কেউ ভুল ভিডিওর লিংক পাঠিয়ে ফেলার কথাও বলেছেন আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে। তবে এসব আত্মপক্ষ সমর্থনে মন গলছে আনা আদালতের, ‘বেকুব’ বলার শাস্তি হিসেবে দুই মাসের কারাদণ্ড আর বিশ হাজার দিরহাম জরিমানাই যেটার প্রমাণ।
অনেকেই হয়তো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন, কারণ বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গালাগালি করা বা ইনবক্সে আজেবাজে মেসেজ পাঠানোটাকে সিরিয়াস কোন অপরাধ হিসেবে ধরা হয় না, আর তাই শাস্তিও দেয়া হয় না কাউকে। তথ্যপ্রযুক্তি আইন আমাদের দেশেও আছে, এবং সেটাও যথেষ্ট কঠিন। কিন্ত সেটা মানুষের উপকারের বদলে গলার ফাঁসে পরিণত হওয়ার কাজটাই বেশি করে। আইন তো আছে, কিন্ত সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হলে সেই আইনের প্রয়োগ দেখা যায় না সেভাবে।।
আমাদের দেশের একজন নারী ফেসবুক ইউজারের ইনবক্স কখনও চেক করে দেখার সু্যোগ পেলে যে কোন স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার মানুষই অবাক হবেন। প্রেম নিবেদন, পাত্তা না পেয়ে বিচ্ছিরি গালাগালি থেকে শুরু করে সেক্স করতে চাওয়া কিংবা আজেবাজে ছবি/ভিডিও পাঠানো, কি নেই তাতে? একেকটা মেয়ের ইনবক্সের ‘আদার্স’ ফোল্ডারে থাকা মেসেজগুলো যেন আবর্জনার ভাগাড়ে পড়ে থাকা নিকৃষ্ট সব ময়লা। দুর্গন্ধে যেটার ধারেকাছে যাওয়া যায় না৷ অথচ এসবের বিরুদ্ধে আমরা কথা বলি না, এমনকি এই বাজে আচরণের শিকার হওয়া নারীটিও আইনী সহায়তা নিতে চান না৷ আবার কেউ সাহস করে পুলিশের কাছে গেলেও যে সবসময় গুরুত্ব পান, এমনটাও নয়। ফেসবুকে কে কাকে কি বললো, এসব নিয়ে আমাদের আইন-শৃঙখলা বাহিনীর অনেকেই মাথা ঘামাতে রাজী হন না৷
বুঝিয়ে শুনিয়ে, ভালো ভালো কথা বলে এদের লাইনে আনা যাবে না, সেসব এদের গোবরে ভর্তি মস্তিস্কে ঢুকবেও না। এই অমানুষগুলোকে ঠিক করতে হবে আইনের আওতায় নিয়ে এসে। এমন বিশটা গালিবাজকে ধরে দুইমাসের কারাদণ্ড আর বিশ-ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করলেই ফেসবুকে নিজেদের কুতুব মনে করা শত শত গালিবাজ চোখের পলকে সোজা হয়ে যাবে৷ একটা মেয়ের ইনবক্সে আজেবাজে মেসেজ পাঠানোটা যে পৌরুষত্বের পরিচয় নয়, এটা কাপুরুষতা, এটা অপরাধ, সেটা এদের মাথায় ঢোকে না৷ ঢোকাতে হবে শাস্তির প্রচলন করেই৷
তথ্যসূত্র- Pjojonmo
Join our social media
Facebook Page : www.facebook.com/sanim369
Twitter : www.twitter.com/@sanim369
Instagram : www.instagram.com/@nuraalamsanim
মজা করে আমরা নিজেদের বন্ধু-বান্ধবীকে কতরকম কথাবার্তাই না বলে থাকি। গরু-গাধা থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছুই। তবে হ্যাঁ, এখন থেকে সাবধান থাকবেন একটু, কিছু বলতে গিয়ে লিমিট ক্রস করে ফেলবেন না যেন! নইলে পরিণতি হতে পারে আরব আমিরাতের এই লোকটার মতো। বেচারা তার এক পরিচিত তরুণীকে প্রপোজ করতে গিয়েছিলেন হোয়াটসঅ্যাপে। সেই তরুণী তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় রেগেমেগে তাকে ‘স্টুপিড’ বলে গালাগাল দিয়েছিলেন সেই ব্যক্তি। ফলাফল? বিশ হাজার দিরহাম জরিমানার সঙ্গে এখন দুই মাসের কারাদণ্ডও ভোগ করতে হচ্ছে সেই লোকটাকে।
আরব আমিরাতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন যথেষ্ট কড়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যে আপত্তিকর কোনও কিছু লিখলে বা প্রকাশ করলেই তাকে সাইবার ক্রাইম হিসেবে দেখা হয়। বান্ধবীকে ‘বেকুব’ বলে ৬০ দিনের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার দিরহাম জরিমানার দণ্ড পাওয়ার ব্যক্তি দাবী করেছেন, তিনি মজা করে কথাটা বলেছিলেন। তবে আদালত তার কথা আমলে নেয়নি।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও তিনি যেমন নিস্তার পাননি, তেমনি এমন আরেকটি মামলায় আরব আমিরাতে বিচার চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর। তিনি নাকি এক মহিলাকে প্রাপ্তবয়স্কদের ভিডিও পাঠিয়েছিলেন! যদিও তিনি দাবী করেছেন, অন্য একটা ভিডিও পাঠাতে গিয়ে তিনি ভুল করে এই ভিডিওটি পাঠিয়েছিলেন। তার মামলার রায়ও ঘোষণা করা হবে শীঘ্রই।
আরব আমিরাতে এরকম আরও বেশ কয়েকটি মামলা চালু রয়েছে, যেখানে বাদী ইন্টারনেটে হেনস্তার অভিযোগ করেছে। আর বিবাদী বলেছেন, শুধু মজা করার উদ্দেশ্যেই তারা সংশ্লিষ্ট কথাগুলো লিখেছেন চ্যাটে। কেউ কেউ ভুল ভিডিওর লিংক পাঠিয়ে ফেলার কথাও বলেছেন আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে। তবে এসব আত্মপক্ষ সমর্থনে মন গলছে আনা আদালতের, ‘বেকুব’ বলার শাস্তি হিসেবে দুই মাসের কারাদণ্ড আর বিশ হাজার দিরহাম জরিমানাই যেটার প্রমাণ।
অনেকেই হয়তো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন, কারণ বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গালাগালি করা বা ইনবক্সে আজেবাজে মেসেজ পাঠানোটাকে সিরিয়াস কোন অপরাধ হিসেবে ধরা হয় না, আর তাই শাস্তিও দেয়া হয় না কাউকে। তথ্যপ্রযুক্তি আইন আমাদের দেশেও আছে, এবং সেটাও যথেষ্ট কঠিন। কিন্ত সেটা মানুষের উপকারের বদলে গলার ফাঁসে পরিণত হওয়ার কাজটাই বেশি করে। আইন তো আছে, কিন্ত সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হলে সেই আইনের প্রয়োগ দেখা যায় না সেভাবে।।
আমাদের দেশের একজন নারী ফেসবুক ইউজারের ইনবক্স কখনও চেক করে দেখার সু্যোগ পেলে যে কোন স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার মানুষই অবাক হবেন। প্রেম নিবেদন, পাত্তা না পেয়ে বিচ্ছিরি গালাগালি থেকে শুরু করে সেক্স করতে চাওয়া কিংবা আজেবাজে ছবি/ভিডিও পাঠানো, কি নেই তাতে? একেকটা মেয়ের ইনবক্সের ‘আদার্স’ ফোল্ডারে থাকা মেসেজগুলো যেন আবর্জনার ভাগাড়ে পড়ে থাকা নিকৃষ্ট সব ময়লা। দুর্গন্ধে যেটার ধারেকাছে যাওয়া যায় না৷ অথচ এসবের বিরুদ্ধে আমরা কথা বলি না, এমনকি এই বাজে আচরণের শিকার হওয়া নারীটিও আইনী সহায়তা নিতে চান না৷ আবার কেউ সাহস করে পুলিশের কাছে গেলেও যে সবসময় গুরুত্ব পান, এমনটাও নয়। ফেসবুকে কে কাকে কি বললো, এসব নিয়ে আমাদের আইন-শৃঙখলা বাহিনীর অনেকেই মাথা ঘামাতে রাজী হন না৷
বুঝিয়ে শুনিয়ে, ভালো ভালো কথা বলে এদের লাইনে আনা যাবে না, সেসব এদের গোবরে ভর্তি মস্তিস্কে ঢুকবেও না। এই অমানুষগুলোকে ঠিক করতে হবে আইনের আওতায় নিয়ে এসে। এমন বিশটা গালিবাজকে ধরে দুইমাসের কারাদণ্ড আর বিশ-ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করলেই ফেসবুকে নিজেদের কুতুব মনে করা শত শত গালিবাজ চোখের পলকে সোজা হয়ে যাবে৷ একটা মেয়ের ইনবক্সে আজেবাজে মেসেজ পাঠানোটা যে পৌরুষত্বের পরিচয় নয়, এটা কাপুরুষতা, এটা অপরাধ, সেটা এদের মাথায় ঢোকে না৷ ঢোকাতে হবে শাস্তির প্রচলন করেই৷
তথ্যসূত্র- Pjojonmo
Facebook Page : www.facebook.com/sanim369
Twitter : www.twitter.com/@sanim369
Instagram : www.instagram.com/@nuraalamsanim
No comments